প্রশ্ন: নফল রোযার সঙ্গে কী কাযা রোযার নিয়ত করা যাবে?


بسم الله والحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله

উত্তর: কাযা রোযা এবং নফল রোযা ভিন্ন ভিন্ন বিষয়৷ কাযার নিয়তে রোযা রাখলে কাযা-ই আদায় হবে৷ নফলের নিয়ত করলে নফল আদায় হবে৷ কারো নিজের যিম্মায় অনেকগুলো কাযা রোযা থাকলেও সময়ে সময়ে বিভিন্ন নফল রোযা যেমন, সোম-বৃহস্পতিবারের রোযা, আইয়্যামে বীযের রোযা, শাওয়াল মাসের রোযা, যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশকের রোযা, আশুরার রোযা ইত্যাদি নফল রোযা রাখা যাবে৷ কোনো সমস্যা নেই৷ তবে কাযা রোযাগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রেখে দিতে হবে৷

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ
অর্থ: কাজেই তোমাদের যে ব্যক্তি এই মাসটি পাবে, সে এ মাসে সিয়াম পালন করবে। আর যে ব্যক্তি অসুস্থ বা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে এ সংখ্যা পূরণ করবে। (সূরা বাকারা: ১৮৫)

সোম ও বৃহস্পতিবারের রোযার ফযীলত সম্পর্কে হাদীসে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা রাযি. বলেন, আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন-

تُعْرَضُ الأَعْمَالُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَالخَمِيسِ، فَأُحِبّ أَنْ يُعْرَضَ عَمَلِي وَأَنَا صَائِمٌ.

অর্থ: সোমবার ও বৃহস্পতিবার আমলসমূহ পেশ করা হয়। তো আমার পছন্দ, আমার আমল যেন পেশ করা হয় আমি রোযাদার অবস্থায়। (জামে তিরমিযী হাদীস নং-৭৪৭)

তবে রামাযানের কাযা রোযার সাথে সোম ও বৃহস্পতিবারের রোযার নিয়ত করলে আদায় হবে না৷ বরং কাযা এবং সোম-বৃহস্পতিবারের রোযা পৃথক পৃথকভাবে রাখতে হবে৷

وإذا نوى قضاء بعض رمضان والتطوع يقع عن رمضان في قول أبي يوسف رحمه الله تعالى، وهو رواية عن أبي حنيفة رحمه الله تعالى.
অর্থ: যদি রামাযানের কাযা এবং নফলের নিয়ত করা হয়, তাহলে ইমাম আবু হানীফা রাহ. ও ইমাম আবু ইউসুফ রাহ. এর মত হলো এতে রামাযানের কাযা আদায় হবে৷ (আল-বাহরুর রায়িক: ২/২৯৯, আল-হিন্দিয়া: ১/১৯৬)

واللہ تعالٰی أعلم بالصواب.

উত্তর প্রদানে—মুফতি জিয়াউর রহমান

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *