بسم الله والحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله
উত্তর: রোযা পালনরত অবস্থায় যদি দিনের বেলা যে কোনে সময় ঋতুস্রাব শুরু হয়ে যায়, তাহলে এই রোযা ভেঙ্গে যাবে৷ পুনরায় এই রোযার কাযা রাখতে হবে৷ কেননা নফল রোযা শুরু করে দিলে ওয়াজিব হয়ে যায়৷
عن عائشةَ رَضِيَ اللهُ عنها قالت: كان يُصيبُنا ذلك على عَهدِ رَسولِ الله صلَّى اللهُ عليه وسلَّم، فنُؤمَرُ بقَضاءِ الصَّومِ، ولا نُؤمَرُ بقَضاءِ الصَّلاةِ.
অর্থ: আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বলেন: রাসূল ﷺ-এর যামানায় আমরা এ (হায়েয) অবস্থায় পতিত হলে আমাদেরকে রোযার কাযা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হতো কিন্তু নামাযের কাযা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হতো না। (বুখারী হাদীস নং-৩২১ মুসলিম হাদীস নং-৩৩৫)
ان الشروع في التطوع سبب الوجوب كالنذر فإذا وجب المضي فيه وجب القضاء بالإفساد.
অর্থ: নফল ইবাদত শুরু করা ওয়াজিব হওয়ার কারণ, যেমন মান্নত৷ সুতরাং শুরু হওয়া সাব্যস্ত হয়ে গেলে ফাসিদ করার কারণে তার কাযা ওয়াজিব হবে৷ (বাদায়িউস সানায়ি’: ২/২১৯)
وأما في حالة تحقق الحیض و النفاس فیحرم الإمساك؛ لأن الصوم منهما حرام، والتشبه بالحرام حرام. (طحطاوی علی المراقی: ص : ۳۷۰)
অর্থ: হায়েয ও নেফাস শুরু হয়ে গেলে রোযা অবস্থায় থাকা হারাম৷ কেননা এই দিনসমূহে রোযা রাখা হারাম৷ আর হারামের সাথে সামঞ্জস্য রাখাও হারাম৷ (তাহত্বাভী আলাল-মারাকী পৃষ্ঠা: ৩৭০)
من دخل في صلاة التطوع أو في صوم التطوع ثم أفسده قضاه.
অর্থ: কেউ যদি নফল নামায বা নফল রোযা শুরু করে, তারপর তা ফাসিদ করে ফেলে, তাহলে তার কাযা করবে৷ (আল-হিদায়া: ২/১২৩)
واللہ تعالٰی أعلم بالصواب.
উত্তর প্রদানে-
মুফতি জিয়াউর রহমান
Leave a Reply